Bangladesh

‘প্রথম আলো’ সম্পাদকের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ এপ্রিল ২০২৩ : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে বেলবন্ড বা জামিননামা দাখিল করতে হবে।
রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিন আবেদন করা হয়। প্রথম আলোর সম্পাদকের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ কথা জানান।
আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইমতিয়াজ মাহমুদ ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজীদ চ্যাটার্জি বাপ্পী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহীন আহমেদ খান।
জামিন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, প্রথম আলোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তো সরকার করেনি। অন্য একজন সাংবাদিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তখন আদালত বলেন, অভিযোগ নিয়ে তো প্রেস কাউন্সিলে যাওয়া যেতো। জবাবে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তারা ভুল করলেন, আবার প্রত্যাহার করলেন। বিষয়টি এমন যে পকেট মেরে আবার টাকা ফেরত দিলেন।
আদালত বলেন, প্রথম আলো তাদের ভুলের জন্য সংশোধনী দিয়েছে। এ কারণে তারা আইনগত সুবিধা পাবে। আইনের আশ্রয় লাভের জন্য সবার সমান অধিকার রয়েছে। গত ২৯ মার্চ রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। এ মামলায় পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিবেদনটি দৈনিক প্রথম আলো তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি, ওই শিশুটির নাম জাকির হোসেন। পত্রিকার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো।’