Bangladesh
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুলের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ এপ্রিল ২০২১: রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। এসব অভিযোগে রফিকুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নেত্রকোনা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুলকে আটক করেছিল পুলিশ। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
র্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, "রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এবার তাকে ছেড়ে দেয়া হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "আটক রফিকুল ইসলামের নামে এর আগে কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা ছিলা কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী (রাষ্ট্রদ্রোহী) মামলা হতে পারে। মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাকে ঢাকায় আনা হবে কি-না।"
রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক। তিনি ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলামের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি র্যাব হেফাজতে।
এদিকে মাদানীকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোনা প্রেস ক্লাব ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করেন হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় নেতারা। এসময় তারা মাদানীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেন, তাকে মুক্তি না দেয়া হলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া জানান, মাদানী মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজ বাড়ি আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে র্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাদের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তার বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তার দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নেয়া হয়। পরে বকুল মিয়াকে ওই রাতে ছেড়ে দিলেও অন্যদের আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
রমজান মিয়ার দাবি, এসময় মাদানীর ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনসহ তাদের পরিবারের ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ফোনগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।