Bangladesh
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ঘরবাড়ি
ঢাকা, ১৫ মে ২০২৩ : ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজার জেলায় ১২ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসবের মধ্যে ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২ হাজার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। রোববার বিকেলে কক্সবাজার লাবণী পয়েন্টে সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজার জেলায় কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্টমার্টিনে। বৃষ্টি এবং বাতাসের গতিবেগ বেশি হওয়ায় এ জেলায় প্রায় ১২ হাজার বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিনে ১ হাজার ২০০ বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারে ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও তাদের এখনই আশ্রয়কেন্দ্রে ছেড়ে চলে যেতে বলব না। কারণ, এখনো বৃষ্টি এবং সমুদ্রে জোয়ার আছে। তাদের চলাফেরায় কষ্ট হবে।
রোববার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমুদ্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশসহ অন্যরা।
সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, মোখার তান্ডব চলাকালে জোয়ার ছিল না। তাই সমুদ্রের বুকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি সুস্পষ্টভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। সেন্ট মার্টিনের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপের ছোটবড় হাজারখানেক গাছ ভেঙে পড়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন ১১ জন।
সেন্ট মার্টিনের আরেক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন শুভ বলেন, মোখার তান্ডব যখন শুরু হয় তখন মনে হয়েছিল আর হয়তো বা কারও সঙ্গে দেখা হবে না। চোখের সামনে বাতাসে ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে যেতে দেখছি। দ্বীপের মানুষ অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে মোখার তান্ডবে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহয়তা দেওয়া হবে।