Bangladesh
হেফাজতকে কঠোর হস্তে দমন করার দাবি ১৪ দলের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩০ মার্চ ২০২১: কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত আলোচন সভায় বক্তারা বলেছেন, হেফাজতে ইসলামকে দমন করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
"তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে।" স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, "বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পুনর্গঠন ও পুনর্নিমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আগামী দিনে দেশ কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনাও তিনি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অনুসরণ করলে আমাদের সামনে যে বিষয়গুলো আসছে, তা আসার কথা নয়। ভবিষ্যতেও আসতে পারবে না।"
আমির হোসেন আমু বলেন, "দেশের উন্নয়নের সামনে ধর্মান্ধের স্লোগান ছাড়া তাদের সামনে বিকল্প কিছু ছিল না। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। তারা সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় গ্রহণ করে। বারবার সাম্প্রদায়িকতার ওপর আশ্রয় নিয়ে দেশের ওপর আঘাত করতে চায়। হেফাজতই হোক বা তাদের আড়ালে জামায়াত-শিবির পাকিস্তানি শক্তি হোক, তারা কোনও বিচ্ছিন্ন শক্তি নয়।"
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এগুলোকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সরকারের আইন কঠিনভাবে তাদের ওপর প্রয়োগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, "হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের পিতা কে ছিল? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে, তা অশনি সংকেত। আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে নামতে হবে। সনদ দেই আর যেভাবেই যতই খুশি করার চেষ্টা করি, তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরবে না। তারা যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। তাদের খুশি করার কোনও সুযোগ নেই। রাজনীতির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।"
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার চ্যালেঞ্জ যারা দিয়েছিল, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা কিছুতেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নির্বিঘ্নে পালন করতে দেবে না। এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো, তালেবানদের অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।"