Bangladesh
একাত্তরের গণহত্যা: জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান ঢাবি উপাচার্যের
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ নভেম্বর ২০২২: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের স্বীকৃতি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্মরণ’ দিবসের প্রস্ততি উপলক্ষে ঢাবি’র উপাচার্য ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’ আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জাতিসংঘ স্বীকৃতি আদায়ের পথটি মসৃন নয়। তাই এ দাবি আদায়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকেও যুক্ত করতে হবে। একটি সম্মিলিত প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি ‘আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্মরণ’ দিবস উপলক্ষে জেনোসাইড বিষয়ক আলোচনা, গবেষণা, প্রকাশনাসহ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ দাবি আদায়ের অগ্রণী অংশী হিসেবে কাজ করবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
‘১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর ট্রাস্টি বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বাংলাদেশ জেনোসাইড বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জেনোসাইডের জাতিসংঘ স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টাকে গতিশীল করতে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে আগে স্বীকৃতি আদায় করতে হবে।
সভার শুরুতেই আমরা একাত্তরের চেয়ারপারসন মাহবুব জামান গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে সংগঠনের গৃহিত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ বিষয়ে জনমত তৈরি করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক জেনোসাইড স্মরণ দিবস উপলক্ষে আমরা একাত্তর গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন।
ছিলেন।