Bangladesh
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, মারতে এসে মরলো আরসার ৬ সদস্য
ঢাকা, ৯ জুলাই ২০২৩ : কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলিতে আরসা কমান্ডার নজিবুল্লাহসহ নিহত হয়েছেন ছয়জন। ক্যাম্পে অবস্থান করা ঘুমন্ত আরএসও সদস্যদের মারতে এসে উল্টো আরসার সদস্য নিজেরাই কুপোকাত হয়েছে বলে দাবি একাধিক অসমর্থিত সূত্রের।
শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট,ব্লক-বি-১৭-১৮ সংলগ্ন এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তিনজন এবং হাসপাতালে দুজন মারা যান। বাকি আরেকজনের মরদেহ মিলেছে পাহাড়ের ঢালুতে। এমনটি জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
গোলাগুলিতে নিহতরা হলেন- আরসা কমান্ডার ক্যাম্প-১০ এর বাসিন্দা মো. নজিমুল্লাহ, আরসার জিম্মাদার ক্যাম্প-১৩ এর নুরুল আমিন (২৪), আরসার সদস্য ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (২৪) ও মোহাম্মদ হামীম (১৬)। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া সন্ধ্যায় ১১ নম্বর ক্যাম্প এলাকার পাহাড়ের ঢালু থেকে সানা উল্লাহ (২৩) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনিও সকালে গোলাগুলিতে আহতদের একজন বলে দাবি রোহিঙ্গাদের।
ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারী আরসা ও আরএসওর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজন মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয় টহলও।
সূত্র মতে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্যানুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খান নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। আইসিসি টিম চলে যাওয়ার একদিন পর এ গোলাগুলির ঘটনাকে ঘিরে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য নির্যাতিতদের ডাকতে গিয়ে মো. এবাদুল্লাহ (২৭) নামের এক রোহিঙ্গা সাব মাঝি (নেতা) ছুরিকাঘাতে নিহত হন।
রোহিঙ্গাদের দাবি, অধিকার নিয়ে কাজ করতে গঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। এর মধ্যে আরএসও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরার বিষয় ও অধিকার নিয়ে কাজ করে। আর ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে আরসা। আরসার নিয়ন্ত্রণে থাকা সন্ত্রাসীরা মিয়ানমার সরকারের ইন্ধনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও আন্তর্জাতিক আদালতের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে কাজ করছে। প্রত্যাবাসনে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে হত্যা ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে তারা।