Bangladesh
কাল শুরু হচ্ছে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক : আলোচনায় সীমান্ত হত্যা প্রাধান্য পাবে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বছর আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বিজিবি’র অপারেশন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, সীমান্তে হত্যার যে কোনও ঘটনার পরে ‘আমরা সর্বস্তরে আলোচনা শুরু করি। বাংলাদেশ বরাবরই সীমান্তে সহিংসতায় বেশি গুরুত্ব দেয়’।
তিনি বলেন, সীমান্তে শিবির পর্যায়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সেস (বিএসএফ)’র সঙ্গে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ করা হয় এবং হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগের জন্য বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করা হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩। অপরদিকে এ বছরের প্রথম সাত মাসেই ২৯ জন নিহত হয়েছে।
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম শাফিনুল ইসলাম এবং ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে (বিএসএফ) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান রকেশ আস্থানা বিজিবির পিলখানা সদর দফতরে দুই পক্ষের আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন।
বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর জানান, বৈঠকে আন্তঃসীমান্ত বিশেষত মাদক চোরাচালান, কাঁটাতারের বেড়া ও অন্যান্য স্থাপনার মতো বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য আলোচনার বিষয় রয়েছে।
তবে তিনি এই বৈঠককে রুটিন হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
নয়া দিল্লী থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিএসএফের পক্ষ থেকে আলোচনায় গবাদি পশু, মুদ্রা ও মানব পাচার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার, ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তা এবং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা ঢাকায় যাবেন।