Bangladesh
আদালতের অনুমতি ছাড়া নির্যাতিতাকে জেরা করা যাবে না
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ জুলাই ২০২২: ভিকটিমকে (নির্যাতিতা বা ধর্ষণের শিকার নারী) প্রশ্ন বা জেরা করতে আদালতের অনুমতির বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৫ জুলাই) সচিবাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গত ১৪ মার্চ মন্ত্রিসভায় আইনটি আনা হয়েছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনা হয়েছে। যিনি ভিকটিম তাকে বিরোধী পক্ষ থেকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করার একটা প্রবণতা থাকে। সেটা রেস্ট্রিকশন করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি কারও চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ডিজিটাল কোর্টকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বিধায় কিছু সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয়েছে। যাতে ডিজিটাল কোর্ট, ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ এভিডেন্ট অ্যাক্টে এটা ছিল না।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটির ক্ষেত্রে ইনফরমেশন বা ডাটা ব্যবহার করা হবে। শুধু ইনফরমেশনকে ইনক্লুড করা ছিল। যেসব ইনফরমেশন আসবে সেগুলো সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে যে ডাটাকেও (সাক্ষ্য হিসেবে) নিতে হবে।
সংশোধিত আইনে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল রেকর্ডকে বিবেচনা করা হবে। এটা আগে ছিল না। আগে ছিল- কলা, হস্তরেখা ইত্যাদি। আইনটি ১৮৭২ সালের অ্যাক্ট, আইনটি শিগগির বাংলা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।