Bangladesh
৭৫ মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমান
ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ : ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক-সরকারের আমলে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেফতার হন।
২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পাড়ি জমান।
সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লন্ডনে বসেই বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা, দুর্নীতি ও মানহানির অভিযোগে ৭৫ মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ আরও পাঁচ মামলায় তাকে কারাদন্ড দেন আদালত। সব মামলায়ই তিনি পলাতক।
আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৭৫ মামলার মধ্যে মানহানির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৬৫টি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে তিনটি মামলা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি করে মামলা রয়েছে। চাঁদা দাবির অভিযোগসহ অন্য দন্ডবিধি ধারায় পাঁচ মামলা রয়েছে। বহুল আলোচিত এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হয়।
এর অংশ হিসেবে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয় তাকে।
১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তিনি। ওই ১৮ মাসে ১৩ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তারেককে। ১৩ মামলায় ধাপে ধাপে তাকে জামিন দেওয়া হয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আটদিন পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।