Bangladesh
পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে ১৩ মামলার অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২: ‘ফাস ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড’ থেকে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ভুয়া ও কাগুজে ১৩ প্রতিষ্ঠানের নামে জাল নথিপত্র প্রস্তুত করে এ অর্থ আত্মসাৎ করায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় মামলাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। বুধবার সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, যে ১৩টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে সেগুলো হলো- অ্যান্ড বি ট্রেডিং ৪৪ কোটি টাকা, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ৪৫ কোটি টাকা, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড ৩০ কোটি টাকা, এস এ এন্টারপ্রাইজ ৪২ কোটি টাকা, সুখাদা এন্টারপ্রাইজ ৪০ কোটি টাকা, এমটিবি মেরিন ৪০ কোটি টাকা, হাল ইন্টারন্যাশনাল ৪৫ কোটি টাকা, সন্দ্বীপ করপোরেশন ৪০ কোটি টাকা, দিয়া শিপিং কোম্পানি লিমিটেড ৪৪ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজ ৩৫ কোটি টাকা, বর্ণ এন্টারপ্রাইজ ৩৮ কোটি টাকা, আরবি লিমিটেড, ৪০ কোটি টাকা ও মেরিন ট্রাস্ট ৪০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, দুদকের করা একটি মামলায় ফাস ফিন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ারকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুদকের তদন্ত থেকে জানা গেছে, আসামি রাসেল শাহরিয়ার ফাস ফিন্যান্সের এমডি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার একক সইয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণপ্রস্তাব করে বোর্ডে উপস্থাপন এবং ঋণ অনুমোদন করিয়ে পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে স্থানান্তর করেন।
দুদক সচিব বলেন, দুদকের অনুমোদিত ১৩ মামলা থেকে মঙ্গলবার একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় ফাস ফিন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল শাহরিয়ার এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান অ্যান্ড বি ট্রেডিংয়ের নামে জাল রেকর্ডপত্র বানিয়ে, তা সঠিক হিসাবে দেখিয়ে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিক শুভ্রা রানী ঘোষকে ঋণ দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং করা হয়।