Bangladesh
হেফাজত নেতাদের ১৭ প্রতিষ্ঠানের তথ্য দুদকের হাতে
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১: হেফাজত নেতাদের পরিচালিত ১৯টি প্রতিষ্ঠানে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে আয়-ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের বিদায়ী সচিব মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় সহিংসতা চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। পরে হেফাজতের ডাকা হরতালে চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় থানা, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায়। কয়েকদিনের সহিংসতায় ১৭ জন মারা যান, পাশাপাশি অসংখ্য মানুষ আহত হন।
এ ঘটনায় হেফাজতের একাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনে কোনো সন্ত্রাসী অর্থায়ন হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে গত ৫ এপ্রিল হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, সাবেক মহাসচিব প্রয়াত নূর হুসাইন কাসেমী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ ২৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের গোয়েন্দাদের যাচাই-বাছাইয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ মে দুদক পরিচালক মো. আকতার হোসেন আজাদের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি টিম গঠিত হয়। পরে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে হেফাজতের অর্ধশতাধিক নেতার সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠায় দুদক।
বিদায়ী সচিব বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সম্পদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাঠানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য তথ্য হাতে আসেনি।’
সচিব বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাওলানা মামনুল হকসহ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনী, মাওলানা জালাল উদ্দিন আহম্মেদ এবং মোহাম্মদ মহসিন ভূইয়ার আয়কর নথি পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।