Bangladesh
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার যুক্তরাষ্ট্রের বাড়ি ক্রোকে নোটিশ পাঠাবে দুদক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৬ মার্চ ২০২৩ : মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি প্যাটার্সন এলাকার ১৭৯ জ্যাপার স্ট্রিটে কেনা বাড়িটি ক্রোক করতে শিগগিরই এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যন্স রিকুয়েস্ট) পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
সচিব বলেন, তদন্তকালে এস কে সিনহার যুক্তরাষ্ট্রের বাড়ি ক্রোকসহ সেখানকার ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের জন্য আবেদন করা হলে আদালত সেই বাড়িটি ক্রোকসহ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দেন। ফলে বাড়িটি ক্রোক বা ব্যাংক হিসাব ফ্রিজসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে শিগগিরই এমএলএআর প্রেরণ করবেন।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বাড়ি জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসকে সিনহা ও তার ভাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বাড়ি জব্দ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার প্রধান।
এ আবেদনের ওপর শুনানি করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
দুদক সচিব বলেন, এস কে সিনহা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিভিন্নভাবে অর্জিত অর্থ হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করে। এ টাকা দিয়ে ২০১৮ সালের ১২ জুন ২ লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় যা ২ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার) সিনহার জন্য তিন তলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। কাছকাছি সময়ে অনন্ত কুমার সিনহা আরও একটি বাড়ি কেনেন প্রায় ৩ লাখ ডলার খরচ করে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে অনন্ত সিনহার অ্যাকাউন্টে (৮৫৮০০৩৩৭৫) জমা হয় প্রায় ২ লাখ ডলার। সেই বছরের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে একই ব্যাংকের একই অ্যাকাউন্টে আরও প্রায় ৬০ হাজার ডলার। টাকা আসে ইন্দোনেশিয়া ও কানাডা থেকে। ছোট ভাই অনন্ত প্রায় দেড় লাখ ডলারের চেক সংগ্রহ করতে ভাই এসকে সিনহাকে নিয়ে ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকে গিয়েছিলেন। দুদক বলছে এ অর্থ সিনহার যা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়েছিল।