Bangladesh
গাজীপুরের শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার আসামি কক্সবাজারে গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০২৩: বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গাজীপুরের আলোচিত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মামলার এক আসামিকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার ভোরে আকাশ আহমেদ বাবুল নামের ওই ব্যক্তিকে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল এলাকা থেকে ধরা হয় বলে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক জানান। বাবুলের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বটটেকি এলাকায়।
গত ২৫ জুন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আদায়ে দুই শ্রমিক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কারখানা থেকে বেরিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর তাদের ওপর হামলা হয়, তাতে প্রাণ যায় শহিদুলের। বাংলাদেশ সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে শহিদ হত্যা নিয়েও সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্র শহিদুল ইসলাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা শহিদুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যে কোনো অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে’।
শহিদুল বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন-এর গাজীপুর জেলার সভাপতি ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় করা মামলায় ২ নম্বরে বাবুলের নাম আছে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব কর্মকর্তা সাদিকুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা ‘স্বীকার করেছেন’ বাবুল। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না জানিয়ে মেজর সাদিকুল জানান, বাবুলকে গাজীপুরে পুলিশের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে ৯ জুলাই এ মামলার ছয় নম্বর আসামি মো. হানিফকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর ১২ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার হন রাইসুল ইসলাম ওরফে রাতুল, মো. জুলহাস আলী, সোহেল হাসান ওরফে সোহাগ এবং শাহীনুর ইসলাম ওরফে শাহীন। তারা সবাই টঙ্গীর সাতাইশ ও সাতাইশ চৌরাস্তা এলাকায় থাকেন, সেখানে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন।