Bangladesh
বিস্ফোরণের পর জানা গেলো ২০ বছর ধরে বাড়িতেই তৈরি হতো আতশবাজি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২২: অবৈধ হলেও নিজ বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করে আতশবাজি ও পটকা তৈরি করে আসছিলেন বোরহান উদ্দিন (৫০)। বিস্ফোরণে দুই নারী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর জানা গেলো, দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে এ কারখানা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাজি তৈরির ওই কারখানায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানা মালিক বোরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর ঘটনার বিবরণে জানান, গত ২০ এপ্রিল ভোরে নান্দাইলের চন্ডিপাশা এলাকায় একটি অবৈধ আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিয়া খাতুন (৪৫) নামে দুই নারী শ্রমিক মারা যান।
নাছিমা আক্তার দেড় বছর এবং আফিয়া খাতুন চার মাস ধরে ওই কারখানায় কাজ করতেন। তারা কাজ অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে ছয় হাজার টাকা আয় করতেন। গ্রেফতার বোরহানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, ওই বাড়িটিতে অবৈধভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুত রেখে বাজি তৈরি করা হতো। কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে আতশবাজিসহ চকলেট বাজি, তারাবাজি ও পটকা তৈরি করে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করতেন।
আতশবাজি তৈরির জন্য কাচাঁমাল ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে কিনতেন বোরহান। তার কারখানা বাজি তৈরির জন্য পালাক্রমে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ঘটনার দিন ভোরে আতশবাজি তৈরির সময় ২ নারী বিস্ফোরণে মৃত্যুবরণ করেন।