Bangladesh
দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে ঈদের দিনেও রাস্তায় অবস্থান
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৫ মে ২০২১: শুক্রবার (১৪ মে) দেশজুড়ে উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনা সংক্রমণরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ঈদের দিনও রাস্তায় অবস্থান নেন সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশজুড়ে দূরপাল্লার বাস চালু করার দাবিতে ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
ঈদের জামাতের পরপরই সকাল ১০টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের বাস টার্মিনাল রাজধানীর মহাখালিতে শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু হয়। রাজধানীর অপর টার্মিনাল সায়েদাবাদেও অবস্থান নেন সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সদস্যরা। সেখানে ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি হাজি মো আলী সুবা।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া নেতারা বলেন, করোনায় লকডাউনে মার্কেট, শপিংমলসহ সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। সব পরিবহন চলছে। ফেরিতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। ভিড়ে পদদলিত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে নানা টালবাহানা চলছে। এই অবস্থায় কর্মহীন হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
দূরপাল্লার বাসচালুর দাবিতে ঈদের দিনে রাজশাহী, সাতক্ষীরা, জয়পুরহাট, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচী পালিত হয়।
পরিবহন মালিক শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে:-
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মােট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব গণপরিবহন এবং স্বাভাবিক পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
লকডাউনের কারণে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ঈদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের যানবাহন মেরামত, কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন, ভাতা ও ঈদ বােনাস ইত্যাদি দেয়ার জন্য নামমাত্র সুদ ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।
সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলােয় পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএসের (খোলাবাজার) চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
কোভিড-১৯ এর কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়ােগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা। পাশাপাশি দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে শ্রেণিকৃত ঋণগুলো নিয়মিত করার সুযোগ দিতে হবে।
লকডাউনে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয় করসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদের সুযোগ দিতে হবে।