Bangladesh
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলাবাহিনী
দুটি পূর্ণাঙ্গ নারী ব্যাটালিয়নসহ ৪১টি ব্যাটালিয়নের প্রায় ১৭ হাজার সদস্য পার্বত্যঅঞ্চল ও সমতলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত স্ট্রাইকিং ফোর্স দেশের অভ্যন্তরে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর আনসার-ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩৯তম জাতীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আনসার বাহিনীর সদস্যদের কথাও তিনি স্মরণ করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব পালনের সময় ৫ জন আনসার সদস্য জীবন দিয়েছেন। প্রতি বছর আনসার সদস্যরা দেশের জাতীয় সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন উৎসবে ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তারক্ষা, জঙ্গিবাদ এবং মাদক প্রতিরোধে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার এই বাহিনীকে ১৯৯৮ সালে সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় পতাকা প্রদান করে।’
আনসার-ভিডিপি বাহিনীকে দক্ষ বাহিনী হিসেবে করে গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিসিএস কর্মকর্তাদের মানোন্নয়ন করা হয়। ২০০০ সালে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। ৬৭২ জন নারী আনসারের পদ স্থায়ীকরণ এবং তাদের চাকরিকাল শতভাগ গণনা করার নির্দেশনা জারি করা হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে। কক্সবাজারে সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্যাটালিয়ন গঠনের কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর নিরাপত্তা রক্ষায় একটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। আনসার সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৫টি মডেল আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতর নির্মাণ করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই আসুন আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলি।’