Bangladesh
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে: শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর ২০২১: স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনগণের প্রতি গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের আজকের এই দিনে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। এ মহান দিবসে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সমগ্র জাতিকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র তাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে। এই বর্বরতম হত্যার মাধ্যমে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথকে বন্ধ করে দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবারও দীর্ঘ সংগ্রাম করে। এ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ, ছাত্রলীগ নেতা সেলিম-দেলোয়ার সহ অনেকেই শহীদ হন।