Bangladesh
জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হলো বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ। এর মাধ্যমে জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে পর্যটন নগরী বান্দরবান। ২৬৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন। শিগগির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কটির উদ্বোধন করবেন।
বান্দরবানের রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কেরানীহাট-বান্দরবান সড়ক। পর্যটন নগরী হওয়ায় প্রতিদিন স্থানীয়সহ কয়েক হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক যাতায়াতের জন্য সড়কটি ব্যবহার করেন। সড়কটি উঁচু-নিচুসহ প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই সরু ছিল। এছাড়া বর্ষাকালে জলাবদ্ধতাসহ যাতায়াতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতো। ফলে প্রায় ঘটতো দুর্ঘটনা। তবে এখন প্রশস্ত হওয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচলকারীদের যাতায়াতে ঝুঁকি কমার পাশাপাশি কমেছে সময়ও।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর কেরানীহাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর। সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ২০ ইঞ্জিনিয়ার্স কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রকল্পের মেয়াদ পূর্তির আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২১টি ব্রিজ, ১৫টি কালভার্ট, ২১ কিলোমিটার ড্রেনেজ নিষ্কাশন অবকাঠামো তৈরিসহ সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
খুব সুন্দর ও প্রশস্ত নতুন এ সড়কটি দেখে স্থানীয় ও পর্যটকরা খুবই বিমোহিত। আগে এ সড়কের অনেক স্থানে ভাঙা ছিল ও উঁচু-নিচু আঁকাবাঁকা ছিল। কিন্তু এখন এ সড়কটি অনেক প্রশস্ত হয়েছে।
কেরানীহাট-বান্দরবান জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নকাজের প্রকল্প কর্মকর্তা (২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন) মেজর মো. শাহ সাদমান রহমান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সড়কটি মহাসড়ক মানে উন্নীত করা, বিদ্যমান সরু, পুরাতন ও জরাজীর্ণ সেতু এবং কালভার্টগুলো পুনর্র্নিমাণের মাধ্যমে একটি নিরাপদ, টেকসই এবং ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা।