Bangladesh
বাংলাদেশ এপিআরসি’র সভাপতি নির্বাচিত: পরবর্তী সম্মেলন শ্রীলংকায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ মার্চ ২০২২: বাংলাদেশ পরবর্তী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন’র (এপিআরসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপি ৩৬ তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন’র (এপিআরসি) শেষ দিনে শুক্রবার এ ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকা ঘোষণায় এ কথাও জানানো হয় যে, ৩৭তম এপিআরসি সম্মেলন শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) চার দিনব্যাপী ৩৬ তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (এপিআরসি) গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের শেষ দিনে শুক্রবার সন্ধ্যায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, এ সম্মেলনে ডিজিটাল হাব স্থাপন, গবেষণার জন্য বিশেষ ফান্ড গঠন, সবুজায়ন বৃদ্ধি, জলবায়ুসহনশীল কৃষি, টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং মানুষ, প্রাণি ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে বিবেচনা করে ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচকে অগ্রধিকার দিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছে এপিআরসির সদস্য ৪৬টি দেশ।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ‘আমরা যেরকমটা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে। মানবজীবনের সবকিছুকেই এটি প্রভাবিত করবে, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি।’
তিনি বলেন, কোভিডের কারণে এ অঞ্চলের কৃষি, খাদ্য ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সারের উৎপাদন কমে গেছে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মালদ্বীপ তাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে।
মন্ত্রী জানান, এ অবস্থায়, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও কোভিড মোকাবেলা করে টেকসই কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গবেষণার মাধ্যমে ফসলের নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা সম্প্রসারণে একসাথে কাজ করার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে। এখানে এফএও’র বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
কৃষিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য একটি ‘বিশেষ ফান্ড’ গঠনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে এটিকে চূড়ান্ত রিপোর্টের মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে কৃষিমন্ত্রী জানান।