Bangladesh
জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্য গ্রেফতার
ঢাকা, ২৯ আগস্ট ২০২১ : দেশে এই প্রথম নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের একজন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তার নাম জোবাইদা সিদ্দিকা নাবিলা। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিটিটিসি।
সিটিটিসি বলছে, এর আগে আর কোনো নারী জঙ্গি গ্রেফতার হননি। নাবিলা প্রথম প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গি। অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্য গ্রেফতার হলেও নাবিলার মতো প্রশিক্ষিত ছিলেন না। আনসার আল ইসলামের হয়ে মিডিয়া শাখা অর্থাৎ জঙ্গিবাদের প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব পালন করতেন নাবিলা। সামরিক শাখার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি দেশ ও দেশের বাইরে যেকোনো সময় জিহাদ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সিটিটিসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নাবিলা ২০২০ সালের প্রথম দিকে নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মনামে একটি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। একসময় ফেসবুকে আনসার আল ইসলামের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ‘তিতুমীর মিডিয়া’র খোঁজ পায়।
তখন তিনি এই পেজে যুক্ত হয়ে আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন উগ্রবাদী ভিডিও ও অডিও আর্টিকেল সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে এবং তাদের মতাদর্শকে লালন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার ‘তিতুমীর মিডিয়া’র পেজের অ্যাডমিনের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরে ওই পেজের অ্যাডমিন উগ্রবাদী জিহাদি কনটেন্ট সংবলিত আনসার আল ইসলামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক তাকে পাঠায়।
এরপর ওই নারী আনসার আল ইসলামের সব অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ও তাদের উগ্রবাদী মতাদর্শ কঠোরভাবে লালন করে। তাদের মতাদর্শ সবার সঙ্গে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইন মিডিয়া প্লাটফর্ম বেছে নেয় নাবিলা। এরই ধারাবাহিকতায় সে ফেসবুক, টেলিগ্রাম ও ‘ঈযরৎঢ়রিৎব’ নামের অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ছদ্মনামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলে।
মেয়ের নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িয়ে পড়া নিয়ে গ্রেফতার নাবিলার পরিবারের ভূমিকা কী ছিল, এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পরিবার চেষ্টা করেছিল তাকে জঙ্গিবাদ থেকে দূরে সরিয়ে আনতে। কিন্তু পারেনি। পরিবারের অমতেই সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বেরিয়ে পড়ে।’