Bangladesh
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে: মোদি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২ নভেম্বর ২০২৩: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি গত ৯ বছরে উভয় দেশ একসঙ্গে যে কাজ করেছে, তা আগের কয়েক দশকেও হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথসহ ৩ প্রকল্প উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে মোদি এসব কথা বলেন।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আনন্দের বিষয় যে আমরা আবারও ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার সাফল্য উদযাপন করতে সংযুক্ত হয়েছি। আমাদের সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। গত ৯ বছরে আমরা একসঙ্গে যে কাজ করেছি, তা আগের কয়েক দশকেও করা হয়নি।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি কয়েক দশক ধরে ঝুঁলে ছিল। আমরা সমুদ্রসীমার বিরোধও সমাধান করেছি... গত ৯ বছরে ৩টি নতুন বাস পরিষেবা চালুর মাধ্যমে ঢাকা, শিলং, আগরতলা, গুয়াহাটি এবং কলকাতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৯ বছরে ৩টি নতুন ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে পার্সেল এবং কন্টেইনার ট্রেনগুলোও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলছে... গঙ্গা বিলাস নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী চালু করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটনও চাঙ্গা করা হয়েছে...।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৯ বছরে আমাদের (বাংলাদেশ ও ভারতের) অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য তিনগুণ বেড়েছে... আজ আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের উদ্বোধন একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত... এটি বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম রেল সংযোগ।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলোর সময় থেকেই বাংলাদেশের সাথে ত্রিপুরার দৃঢ় বন্ধন রয়েছে... আমি আনন্দিত যে, আমরা মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটও উদ্বোধন করেছি...।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথসহ ৩টি প্রকল্প ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর নয়াদিল্লি থেকে যুক্ত হন নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্প তিনটি হলো : আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।
নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমরা যে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ (সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার উন্নয়ন) নীতিতে বিশ্বাস করি, এটি আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জন্যও বিবেচনা করি। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে গর্বিত। গত ৯ বছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।’