Bangladesh
সিঙ্গেল ডোজ টিকাদানে মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২: ঢাকাসহ সারাদেশে ১০ কোটি মানুষকে সিঙ্গেল ডোজ টিকাদানের মাইলফলক স্পর্শের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তারপর থেকে টিকাদানের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত প্রথম বা সিঙ্গেল ডোজ নিয়েছেন নয় কোটি ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ১০৭ জন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে ১০ কোটি সিঙ্গেল ডোজ টিকাদানে মাইলফলক স্পর্শ করবে দেশ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ১১ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে (প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ) টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়িয়েছে।
রাজধানী, বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি তৃণমূল পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকেও টিকাদান কার্যক্রম পৌঁছে গেছে। সে হিসেবে দু-একদিনের মধ্যে ১০ কোটি সিঙ্গেল ডোজ টিকাদানে রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজের টিকাদান ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ছয় হাজার ১৪-তে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ১০৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ছয় কোটি ৪৬ লাখ আট হাজার ৫৩৫ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭২ জন।
এদিকে দেশে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বমোট টিকা নিয়েছেন ১০ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দুই লাখ ৯৭ হাজার ৩৩২ জন (পুরুষ এক লাখ ৫১ হাজার ৩৭৯ ও নারী এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৫৩), দ্বিতীয় ডোজ ছয় লাখ ৯৪ হাজার ৯৫৮ জন (পুরুষ তিন লাখ ২৯ হাজার ৩৯৭ ও নারী তিন লাখ ৬৫ হাজার ৫৬১) এবং বুস্টার ডোজ ৬৮ হাজার ৫৬৩ জন (পুরুষ ৪২ হাজার ৩১৮ ও নারী ২৬ হাজার ২৪৫) নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে যে কোনো দেশের ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে হার্ড ইমিউনিটি (জনস্বাস্থ্যগত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) তৈরি হয়। দেশে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকাদানের সংখ্যা ১০ কোটির মাইলফলক ছুঁই ছুঁই।