Bangladesh
অতি দুর্গম ৩০৭৯ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছালেই শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে বাংলাদেশ
ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ : আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেয়া হবে। দেশে মোট গ্রামের সংখ্যা ৯৮ হাজার ৩১৯টি।
এর মধ্যে অতি দুর্গম তিন হাজার ৭৯ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছালেই শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে বাংলাদেশ। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) পাক্ষিক ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ ম্যাগাজিন শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে দেশের গ্রিডভুক্ত সব এলাকার মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে গ্রিড সংযুক্ত এলাকার শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বক্তারা বলেন, দেশে গ্রিড এবং গ্রিডভুক্ত নয় এই দুই জায়গাকেই বিদ্যুৎ বিতরণের আওতায় আনতে চাইছে সরকার। ইতোমধ্যে দেশের সব গ্রিড সংযুক্ত এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হয়েছে। তবে গ্রিডের বাইরে গিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বেশ কঠিন বিষয়। এজন্য সরকার মিনিগ্রিড, অফগ্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করে দিচ্ছে।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জানান, গ্রিড সংযুক্ত এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের বিষয়টি আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। এখন দেশের আর মাত্র তিন লাখ সাত হাজার ২৪৬ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে রয়েছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পিডিবি) দুই হাজার ৫২টি, আরইবির এক হাজার ১৪টি, ওজোপাডিকো ৯টি এবং নেসকোর ১৭টি গ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণের বাইরে রয়ে গেছে। সবই দুর্গম গ্রাম। এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছানো খুব কষ্টসাধ্য। এরপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ মার্চ আমরা সেটি ঘোষণা দিতে পারবো।
পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাদের বিতরণ এলাকার মধ্যে হাতিয়া, সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া, আশুগঞ্জ, সোনারামপুর দুর্গম এলাকা। হাতিয়ায় একটি আলাদা ১০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সামনে আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে, এমন প্রচেষ্টাই আমরা চালাচ্ছি। এজন্য কিছুটা সময়েরও প্রয়োজন।