Bangladesh
অচিরেই উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২২: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে সব বাংলাদেশিকে ভেদাভেদ ভুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়েছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী দেশে এবং প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাকে, যাদের সুযোগ্য দিক নির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের ঋণ কখনও শোধ হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সম্মান জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। কৃতজ্ঞতা জানান সব বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন, সংস্থা, ব্যক্তি এবং বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোতভাবে সহায়তা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হলেও ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এ ভূখণ্ডে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দিনে দিনে পাকিস্তানিদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যমূলক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শেখ মুজিব যেকোন ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালিদের অধিকার ও আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে অটল থেকেছিলেন। তার অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ, যে সংগঠন দু’টির সৃষ্টি থেকে শুরু করে তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে, ২০২০-২১ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যুগপৎভাবে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছি। স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব বাংলাদেশিকে ভেদাভেদ ভুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই।’