Bangladesh
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্তির ১ দফা ঘোষণা বিএনপির
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৩: সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদের বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে ‘এক দফা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ এক দফার ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। তবে সেই নির্বাচন আপনার মতো শেয়ালের হাতে হোক, তা চাই না। আপনি বারবার নির্বাচন গিলে খেয়ে ফেলেছেন। ২০১৪ সালে খেয়েছেন, ২০১৮ সালে একবার খেয়েছেন, আবারও খেতে চাইছেন। সেই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটা আঘাত এলে পাল্টা দুটো আঘাতের হুমকি দিয়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকারের ভোটচুরির প্রকল্পে যারা থাকবে, তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। এই ভোটচুরির প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবেন না। কেউ রেহাই পাবেন না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সারা দেশের আইনজীবীদের বলবো—এই গায়েবি মামলা নিয়ে আদালতে যাওয়া বন্ধ করে দেন। যেতে আপনাকে (শেখ হাসিনা) হবেই। কোন দেশে যাবেন, কোন দেশের ভিসা পাবেন- এই বিষয়গুলো রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই রক্ত দিতে চাই। কেন দিবো। আমাদের রক্ত নিলে আমরা পাল্টা রক্ত নেবো। আমাদের ওপর একটা আঘাত এলে, পাল্টা দুইটা আঘাত করবো। গণতন্ত্রের যুদ্ধে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে যা করবেন, তা-ই শুদ্ধ’।
গয়েশ্বর উল্লেখ করেন, ‘মহাসচিবের ডাকের সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রের যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন জননেতা তারেক রহমান।’ তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনে যেতে চাইবে আর ভোটচোরদের কোনও রেহাই দেওয়া হবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভালোভাবে পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝেছেন। এজন্যই তিনি ভোটচুরিতে নেমেছেন। আজকে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, বিভিন্ন জেলায় প্রশাসক পদায়ন করা হয়েছে, তারা মন্ত্রীদের পিএস ছিল। নামগুলো সব পেয়ে গেছি। আগামীতে যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তখন এরা কেউ এই পদে থাকতে পারবে না।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সারা দেশে ঘরে ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করে আজকে শান্তি মিটিং করেন। তারা বলে, যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, তাদের প্রতিহত করবে।
মির্জা আব্বাস দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগের সমাবেশে লোক নাই। আগামী দিনেও থাকবে না। বিএনপির সাধারণ কর্মীর নিশ্বাসে তারা ভেসে যাবে। লগি-বৈঠার দিন শেষ। মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আর আসা যাবে না।’