Bangladesh
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৬ জুন ২০২৩: বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসায় যান বিএনপি মহযাাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত রাষ্ট্রদূতের বাসায় যান তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, এখনো এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।
তবে বিএনপির একটি সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাই পিটার হাসের বাসায় যান। সাক্ষাৎ শেষে দুপুর ২টার পর তিনি ওই বাসা থেকে বের হন। এর আগে গত রোববার পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ওই বৈঠকে পিটার হাস আগামী নির্বাচন নিয়ে জাপার পরিকল্পনা জানতে চান বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে নির্বাচন ইস্যুতে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর রাজনীতির ‘জল ঘোলা’ দেখছেন বিএনপি নেতারা। এটা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলন সহায়ক বলে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখালেও নির্বাচনে বাধাদানকারীরা যেহেতু ভিসানীতির আওতায় পড়বেন তাই এ নিয়ে অভ্যন্তরে আশঙ্কাও রয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। আপাতদৃষ্টিতে সিদ্ধান্তটি তাদের পক্ষেই গেছে বলে মনে করেন দলটির নেতারা। যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন, তারই পক্ষে সিদ্ধান্তটি এলো। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এখন এই আন্দোলনকে সরকারি দলের দাবি অনুযায়ী আবার সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যুক্তরাষ্ট্র এটিকে বাধা হিসেবে মনে করবেন কি না সেটা ভাবার বিষয়। এখানে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আশঙ্কা ওখানেই, তারপর কি হবে? জল ঘোলা পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কে কাকে শিকার করবে, কে কার শিকার হবে?
নেতাদের মতে, সরকারি দল বিদেশিদের সামনে লোক দেখানো একটি পথ খোলা রাখতে পারে। ফলে বিদেশিদের ‘ধোকা’ দিয়ে নির্দলীয় সরকারের দাবি না মেনেই বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। এতে বিরোধী দলগুলোর ঐক্য ধরে রাখা কঠিন হতে পারে। পাশাপাশি বিদেশিরা আশ্বস্ত হলে সরকারের ওপরও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার বিষয়ে ‘চাপ’থাকবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।