Bangladesh
বঙ্গভ্যাক্সের অ্যানিমেল ট্রায়াল শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশীয় প্রযুক্তিতে গ্লোব বায়োটেকের তৈরি বঙ্গভ্যাক্স টিকার অ্যানিমেল (বানরের ওপর) ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গত ১ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ ট্রায়াল চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। এরপর মাসের শেষের দিকে ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শনিবার এ কথা জানান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এ ট্রায়াল শেষ হলেই বিএমআরসিকে রিপোর্ট জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।
ড. মহিউদ্দিন বলেন, আমরা প্রথমে বানরে টিকার ট্রায়ালের জন্য বিদেশে চেষ্টা করেছি। ভারত বলছে জিটুজি পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য, তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি। তবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বলছে, এমআরএনএ টিকা বানরে ওপর পরীক্ষার দরকার নাই। কিন্তু বিএমআরসি বলছে করা লাগবে। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে বানর সংগ্রহ করেছি।
ট্রায়াল প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বানরের ওপর ট্রায়াল হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে দেশের বিজ্ঞান গবেষণায় এক নতুন মাইলফলক। প্রাথমিক ফলাফলে ওই টিকাটি বানরে নিরাপদ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বঙ্গভ্যাক্সের কার্যকারিতা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রাণঘাতী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার প্রায় প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকরি। এবিষয়ে ড. মহিউদ্দিন বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টাসহ ১১টি ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় ছিল।
করোনা মহামারির বিরুদ্ধে সারা বিশ্বেই অধিক কার্যকরী টিকা হবে বঙ্গভ্যাক্স, এমনটি জানিয়ে গ্লোব বায়োটেক জানায়, আমরা আমাদের গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ জিনোম সিকুয়েন্স করেছি। এছাড়াও এনসিবিআই ভাইরাস ডেটাবেজে প্রাপ্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোভিড-১৯ এর সব সিকুয়েন্স বায়োইনফরমেটিক্স টুলসের মাধ্যমে বিশদ পর্যালোচনা করে আমাদের টিকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি এবং ওই টিকা সারা বিশ্বে অধিক কার্যকরী হবে বলে যৌক্তিকভাবে আশা করছি।