Bangladesh
মন্ত্রিসভায় আয়োডিন যুক্ত লবণ সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৮ অক্টোবর ২০২০ : মন্ত্রিসভা নীতিগতভাবে ‘আয়োডাইজ সল্ট অ্যাক্ট, ২০২০’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। এতে যদি কেউ নিবন্ধন ছাড়া আমদানি, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ অথবা মজুদ করে, তবে, তাদের এক থেকে তিন বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনওয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য এবং সচিববৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সেকশন-৪২-এর অধীনে যে ব্যক্তি আইন লংঘন করবে তাকে ন্যূনতম এক থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর সাজা অথবা ৫০ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আয়োডোনাইজ সল্ট অ্যাক্ট ২০২০’ আইনের অধীনে সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকিতে ১৪ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠিত হবে।
শিল্প সচিব কমিটির সভাপতি হবেন এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিএসসিআইসি (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আনওয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে ১৩টি চ্যাপ্টার ও ৫১টি সেকশন রয়েছে। এতে ন্যাশনাল সল্ট কমিটিকে লবণ উৎপাদন তদারকিতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া, রিফাইনিং, আয়োডাইজিং, আমদানি, মজুদ এবং পাইকারি সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনার তদারকিতেও কমিটিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
লবণের ব্যবসা করতে হলে সকল লবণ ব্যবসায়ীকে এই আইনের অধীনে লাইসেন্স নিতে হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোন ব্যক্তি যদি লবণ আমদানি, মজুদ, পাইকারি সরবরাহ, পরিশোধন এবং দেশের কোথাও আয়োডাইজ লবণ ফ্যাক্টরি চালায় তাহলে এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, মানব ও প্রাণীর খাদ্য সামগ্রী তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এবং লবণ খাতকে যথাযথ ব্যবস্থাপনার অধীনে আনার জন্য সব ভোজ্য লবণ আয়োডিন যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে এই খসড়া আইনটি তৈরি করা হয়েছে।