Bangladesh
ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানে দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ মে ২০২২: দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক প্রচারণা থাকায় স্বতস্ফূর্তভাবে লোকজন এখানে ঈদের নামাজ আদায়ে দলে দলে সমবেত হন।
মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি অংশ নেয় বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুরের জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২ বছর এখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর করোনার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঐতিহাসিক এ ময়দানে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদের ঢল নামে। ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশেপাশের জেলার মুসল্লিরা ছুটে আসেন।
প্রসঙ্গত, একসঙ্গে এত লোক নামাজ আদায় করার মতো ঈদগাহ মাঠ উপমহাদেশে আর একটিও নেই। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। ঈদগাহটি তৈরি করা হয়েছে মোগল স্থাপত্যরীতির অনুসরণে। মেহরাবের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট এই ঈদগাহে রয়েছে দুটি মিনার, প্রতিটির উচ্চতা ৬০ ফুট। মাঝের গেট দুটি ৪৭ ফুট করে চওড়া। এতে খিলান আছে ৩২টি। জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের পরিকল্পনায় ঈদগাহটি নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মিনারের মূল অংশ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট।
দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদগাহ মিনারটি। দৃষ্টিনন্দন হিসেবে উপস্থাপন করতে প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যার পর থেকেই মিনারে আলো ঝলমল করে ওঠে। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বা ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে।
ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।