Bangladesh

ওষুধে ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৭ নভেম্বর ২০২২ : ওষুধ ভেজালকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, দ্বিতীয়- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তৃতীয়- ১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭২-এ এ ধরনের শাস্তি রয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার (৬ নভেম্বর) সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য বেগম লুৎফুন নেসা খান বিউটির ভোজাল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাতকরণে শাস্তির বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বাজারে ভেজাল ওষুধ বিক্রি হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়, একদম হয় না তা বলবো না। আমাদের দেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হয় এবং প্রায় ৬৩টি দেশে তা রপ্তানি করা হচ্ছে। তবে, ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে ওষুধ প্রশাসন। ওষুধ প্রশাসনের অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, যাতে কেউ নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করতে না পারে।
জাহিদ মালিক বলেন, ওষুধে ভেজাল হলে রোগী মৃত্যুমুখে পতিত হবে তো বটেই। শুধু তাই নয়, তার কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত হতে পারে, নানাধরনের সমস্যা দেখা দেবে। এসব প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন— এরই মধ্যে ওষুধে ভেজালকারীদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে ‘দি ড্রাগস অ্যাক্ট-১৯৪৮, ড্রাগস অর্ডিনেন্স-১৯৫৮ রোহিতকল্পে ওষুধ আইন-২০২২ এ একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। যা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদকে উদ্দেশ্য করে জাহিদ মালিক বলেন, শুধু ওষুধে ভেজাল নয়, আপনারা বলছেন খাদ্যে ভেজাল! এখন আমি বলবো শুধু এসবে নয়, রাজনীতিতেও ভেজাল সৃষ্টি হয়েছে। সেনাপ্রধান যখন নিজেই প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেন, দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন, তখন রাজনীতিতেও ভেজাল সৃষ্টি হয়। আপনারা সে ভেজাল সৃষ্টি করেছেন। আপনারা এখন মিটিং মিছিলে, সভাসমাবেশে লাঠি নিয়ে যান, এখানে কিন্তু লাঠি গ্রহণযোগ্য নয়। তার পরেও আপনারা লাঠি নিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। এটাও এক ধরনের রাজনীতিতে ভেজাল বলা যায়। জাতীয় সংসদে আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বিল ২০২২ উত্থাপনের সময় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।