Bangladesh
মংলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে এগিয়ে এলো ডেনমার্ক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি ২০২২: জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তব্যানের লক্ষ্যে ডেনমার্কের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ব্র্যাক। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
‘এনহ্যান্সিং সেফ ড্রিংকিং ওয়াটার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স থ্রু রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তিন বছরমেয়াদি এই প্রকল্প মংলার ছয়টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির মোট বাজেট ২ কোটি ৯০ লাখ ডেনিশ ক্রোন, যা প্রদান করবে বাংলাদেশের ডেনিশ দূতাবাস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
লবণাক্ততার ভয়াবহ বিস্তারের ফলে মংলা বাংলাদেশের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এর ৬০ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা নিরাপদ পানির সুবিধা পান না। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য এবং উপার্জনের দিক দিয়েও তাদের অবস্থা নাজুক। গার্হস্থ্য কাজের অতিরিক্ত চাপ এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারী ও মেয়েরাও বৈষম্যের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন বলেন, 'আমরা কপ ২৬-এর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নিতে পেরে খুবই আনন্দিত। ২০২৩ সালের মধ্যে ডেনমার্ক বিশ্বব্যাপী অনুদান-ভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নে প্রতিবছর কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করবে। বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম এবং অবশ্যই আমাদের শক্তিশালী জলবায়ু প্রতিশ্রুতি থেকে এই দেশের উপকৃত হওয়া উচিত। এই অংশীদারত্ব ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন কর্মসূচির জন্য বেশ কয়েকটি ডেনিশ অঙ্গীকারের শুভ সূচনার ইঙ্গিত দেয়।'
জানা গেছে, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো উপজেলার সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছাকাছি নিরাপদ পানির একটি উৎস তৈরি করে তাদের অবস্থার উন্নয়ন করা। এটি এমন একটি সমাধান যা অনুরূপ এলাকায় গৃহীত হতে পারে।
ডেনমার্ক সরকারের উন্নয়ন কৌশল ‘দ্য ওয়ার্ল্ড উই শেয়ার’ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রকল্পটি মংলায় ক্ষুদ্র স্তরে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের উদ্যোগকে ছড়িয়ে দেবে। এটি জনগোষ্ঠীকে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন পদ্ধতি অনুসরণ করে, সরকার এবং অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের জীবনযাপন সহজতর করবে।