Bangladesh
নিষেধাজ্ঞা কাটলেও এ বছর আলু যাচ্ছে না রাশিয়ায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২২: সাত বছর আগে বাংলাদেশের ওপর আলু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাশিয়া। সেই নিষেধজ্ঞা তুলেও নিয়েছে দেশটি। কিন্তু এমন সময় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে যখন বাস্তবে এর কোনো সুফল মিলবে না। কাগুজে সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে দীর্ঘদিন। বিশেষ করে এ বছর রাশিয়াতে আর আলু রপ্তানির কোনো সম্ভাবনা নেই।
গত ৫ মার্চ বাংলাদেশের ওপর থেকে আলু রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে তাদের সঙ্গে কোনো দেশই স্বাভাবিক আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও রাশিয়াতে কবে আলু রপ্তানি করা সম্ভব হবে সেটা এখনও অজানা।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি শিগরির সমাধান হলেও দেশে আলুর মৌসুম শেষ হয়ে যাবে। এখন দেশে আলুর ভরা মৌসুম চলছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুফল পেতে ন্যূনতম আরও এক বছর সময় লাগবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি ও ফেরদৌস বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফেরদৌসী বেগম বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুবিধা আগামী বছর পাওয়া যাবে। সাত বছরের অপেক্ষা আরও এক বছর বাড়বে। কারণ এখন আমাদের রপ্তানি মৌসুম। কিন্তু সে দেশে যুদ্ধ চলছে। এ বছর আর কিছু হবে না।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে শেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৪ হাজার টন আলু রপ্তানি হয়েছে রাশিয়ায়। এর আগের ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এর পরিমাণ আরও বেশি ছিল। সে বছর ২০ হাজার টন আলু রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করে ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, রাশিয়া আলুর জন্য একটি বড় বাজার। কারণ সেখানে অন্যতম প্রধান খাদ্য আলু। রাশিয়ার মাধ্যমে ইউক্রেন ও পোল্যান্ডের মতো দেশগুলোর বাজারেও প্রবেশ করা যায়। সবমিলে রাশিয়াতে আলু রপ্তানি হতে পারে অন্তত পাঁচ লাখ টন।
ব্রাউন ড্রাউট নামক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব পাওয়ার কথা বলে ২০১৫ সালের ৬ মে বাংলাদেশি আলু আমদানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়ার ফেডারেল সার্ভিস ফর ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফাইটোস্যানিটারি সার্ভিল্যান্স। এরপর গত ৭ মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত রুশ দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের তথ্য জানায়।