Bangladesh
অভিন্ন নদী ও সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চায় ঢাকা ও দিল্লি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ জুন ২০২২: বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী, পানি ব্যবস্থাপনা, সাইবার-নিরাপত্তা, জ্বালানি, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদারে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
রোববার নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম দফার বৈঠকে এ ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সন্ধ্যায় বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। এতে বলা হয়।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আবদুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর শহরের হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সহ-সভাপতিত্ব করেন।
কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর এটি ছিল প্রথম শারীরিক বৈঠক। এর আগের বৈঠকটি ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের জেরে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া নতুন করে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
মোমেন-জয়শঙ্কর অভিন্ন নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করার পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন।
সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা সহায়তা করতে পারলে খুব খুশি হবো। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় আমরা আমাদের সমর্থন ও সংহতি জানাতে চাই। আমাদের উত্তর-পূর্বেও এই বন্যা চলছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, উভয় দেশই এখন বর্ধিত সময়ের জন্য বন্যা-ব্যবস্থাপনার তথ্য একে অপরের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে। এর পাশাপাশি উভয় পক্ষই এখন বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপস এবং ফিনটেকে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
গত বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তার অনেকগুলো বিষয় অমীমাংসিত বা আটকে আছে।
বৈঠকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলেন। সেখানেও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া ওই বছর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জেসিসি বৈঠকেও নেওয়া অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।