Bangladesh

ভোট পেছানোর দাবিতে অনশনরতদের প্রতি ঢাবি ভিসির সংহতি প্রকাশ
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৯ শিক্ষার্থীর অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ অনশন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তীব্র শীত ও না খাওয়ার কারণে যে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) উৎপল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) কাজল দাস, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের অপূর্ব চক্রবর্তী, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অর্ক সাহা, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সবুজ কুমার, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের জয়ন্ত বণিক, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের সুকেশ দেবনাথ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের রবিউল আওয়াল রবি, সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ভবতোষ চন্দ্র রায়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশনে সংহতি প্রকাশ করে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের তারিখ-দিনক্ষণ ঠিক করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ৩০ তারিখ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার আগে তাদের ভাবা উচিত ছিল যে, এই তারিখ নির্ধারণ কোনো মূল্যবোধ বা কোনো চেতনার পরিপন্থী হয় কি-না। কেননা সরস্বতী পূজা এমন একটি ধর্মীয় উৎসব, যেখানে অসাম্প্রদায়িক আবেদন রয়েছে। আবহমান কাল থেকে এই ধর্মীয় অনুভূতি একটি অসাধার
ভূমিকা পালন করছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ পবিত্র সরস্বতী পূজায় অংশ নিয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর আবেদন আরও গভীরভাবে অনুভূত হয়।
উপাচার্য আরও বলেন, আমি মনে করি যদি আইন-আদালতের কোনো ঝামেলা না থাকে, তাহলে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দিকটি বিবেচনা করে আর কালবিলম্ব না করে নির্বাচন কমিশনের এই তারিখটি পরিবর্তন করা উচিত।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি-ডিএসসিসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবি করে আসছিল সনাতন সম্প্রদায়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণের পর ওই সম্প্রদায় বলে আসছিল, সেদিন সরস্বতী পূজার আয়োজন আছে, তাই ভোটগ্রহণের তারিখ পেছানো হোক।