Bangladesh
বেইলি রোড ট্রাজেডি: আগুনে পোড়া ভবনে মানুষের আতঙ্কভরা চোখ
ঢাকা, ৩ মার্চ ২০২৪ : বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ দুদিন আগেও মানুষের পদচারণায় ছিল মুখর।
মুখরোচক খাবার আর হাসি-আড্ডায় সময় কাটত সেখানে। তবে বৃহস্পতিবারের আগুন বদলে দিয়েছে সব।
ভবনজুড়ে এখন শুধু স্তব্ধতা। আগুনে পোড়ার চিহ্ন নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটির অবশিষ্ট অংশে এখন আর কোনো প্রাণ নেই।
ভবনজুড়ে এখনও যেন ভেসে বেড়াচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলোর আর্তনাদ।
শনিবার বেইলি রোডে গিয়ে দেখা যায়— পুড়ে যাওয়া ভবনটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বর্তমান পরিস্থিতি মানুষকে জানাতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। ভিড় জমিয়েছেন শতশত উৎসুক জনতাও। সবার আতঙ্কভরা চোখে আর্তনাদ স্পষ্ট। কারোর কণ্ঠস্বর কেঁপে উঠছিল ঘটনার কথা মনে করতেই।
ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম ইভান কোচিং শেষে পুড়ে যাওয়া ভবনটি দেখতে এসেছেন। তিনি বলেন, এর আগে এই ভবনে ফ্যামিলিসহ অনেকবার এসেছি। আগুনে পুড়ে যাওয়া এই ভবন দেখে এখন আতঙ্ক লাগছে। এর আগে যখন এখানে এসেছিলাম, বহুবার দেখেছি সিলিন্ডারগুলো অসতর্কভাবে রাখা ছিল। সচেতনতা অবলম্বন করলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
আমিন আলমগীর নামের একজন পথচারী বলেন, আমি প্রতিদিন এই ভবনের সামনে দিয়েই যাই। পুড়ে যাওয়ার পর ভবনটি দেখে ভয় লাগছে। গ্রিন কোজি কটেজের পাশের ভবন গোল্ড প্যালেস। এই ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা বলেন, এখানে (গ্রিন কোজি কটেজ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক মানুষ দেখতাম। কারণ খাবারের দোকান, মানুষ খাবার খেতে আসতো, খাবার নিয়েও যেতো।
গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটি বেইলি রোডের অন্যতম জমজমাট ভবন। সাততলা ভবনটির অধিকাংশ ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল।
ফলে সারাদিনই সেখানে মানুষের যাতায়াত ছিল। তবে সন্ধ্যার পর মানুষের উপস্থিতি থাকত বেশি। গত বৃহস্পতিবার ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ভিড় বেশি ছিল।