Bangladesh
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন আজ
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট উপলক্ষে রাজধানীতে ইতিমধ্যে (৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে) মটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। গত রাত ১২টায় বন্ধ হয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। এ ছাড়াও শুক্রবার রাত ১২টা থেকে আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত নৌ চলাচলও বন্ধ থাকবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, নির্বাচনে সহিংসতার জন্য রাজধানীর বাইরে থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করেছে বিএনপি। বিপরীতে বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র দখল ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলছেন, নির্বাচন কমিশন কারও সহায়ক না, কারও পক্ষে বা বিপক্ষে না।
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনও (ইসি) ঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে বোঝা যাচ্ছে। এর আগে ইসি জানিয়েছিল, দুই সিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০টিরও কম। অথচ ভোটের কয়েক দিন আগে শুধু উত্তরেই ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়েছে ৮৭৬টি।
এদিকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের জন্য ২৮ হাজার ৮৭৮টি ইভিএম সেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইতোমধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
ইভিএমের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য ভোট হবে বলে আমরা আশাবাদী। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইদুল লেন, সব পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফলের প্রিন্ট কপি প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টের কাছে দেয়া হবে। প্রত্যেক কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরে কেন্দ্র থেকে সেই ফলাফল রিটানিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ভোট শেষ হওয়ার ৩০ (সাড়ে ৪টা) মিনিটের মধ্যেই ফলাফল কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্র থেকে ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যদি ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হয়, তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। এটা ইভিএমের দোষ না।’ একজনের ভোট দিতে ৪০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১ মিনিট লাগার কথা জানিয়ে এবার নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।