Bangladesh
ঢাকা-টোকিও’র প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২৩ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার টোকিওতে জারি করা এক যৌথ বিবৃতি অনুসারে, দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ৫০ বছর এবং তার পরেও দুই দেশের যাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ হিসাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উভয় নেতা সহযোগিতা, বিশেষ করে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরো গভীরতর করার এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতার সম্প্রসারণ এবং জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের দৃঢ় সংকল্প গ্রহন করেন।
উভয় প্রধানমন্ত্রী জাপান মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের (জেএমএসডিএফ) কয়েকটি জাহাজের চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সফর এবং জাপান সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন। উভয় পক্ষের প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে গঠিত সহযোগিতা ও বিনিময়ের স্মারকটির আলোকে, তারা বিভিন্ন জাহাজ ও বিমানের পারস্পরিক সফর, ইউনিট-টু-ইউনিট বিনিময়, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং শুভেচ্ছা অনুশীলনের মতো নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।
এছাড়াও, উভয় প্রধানমন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে তাদের টোকিও দূতাবাসে প্রতিরক্ষা শাখা এবং ঢাকায় দূতাবাসে জাতীয় নিরাপত্তা শাখা খোলার বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অধিকন্তু, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার সম্ভাব্য উপায়গুলি চিহ্নিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংলাপ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কিশিদা নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল, জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল এবং প্রতিরক্ষা বিল্ডআপ প্রোগ্রাম অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করার জন্য জাপানের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর অধীনে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক করার জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। উভয় প্রধানমন্ত্রীই নিজ নিজ আঞ্চলিক নিরাপত্তায় অবদান রাখার জন্য উভয় দেশের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা জাপান কর্তৃক সরকারী নিরাপত্তা সহায়তা প্রতিষ্ঠা, নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীর করার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বাহিনী এবং সমমনা দেশগুলোর অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সুবিধার জন্য একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামোর কথা উল্লেখ করেন এবং এই কাঠামোর অধীনে ভবিষ্যতে সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।