Bangladesh
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্বের প্রতীক, পথপ্রদর্শক: রাষ্ট্রপতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৯ নভেম্বর ২০২২: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের নেতৃত্বের প্রতীক, আমাদের পথপ্রদর্শক। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। শনিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের ঐতিহাসিক নিদর্শন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনও ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন সঙ্গে নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে স্বমহিমায়।
আবদুল হামিদ বলেন, করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বের জড়তা ও জরাজীর্ণতা ভেদ করে নতুনভাবে পথচলার বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। হেমন্তের এই রোদেলা অপরাহ্নে আপনারা আমার শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। বিজয়ের মাস সন্নিকটে। সবাইকে বিজয় দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
তিনি বলেন, বক্তব্যের শুরুতে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ ও ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী সব শহীদকে। স্মরণ করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সব সূর্য সন্তানদের, যারা ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা জানেন বিগত দুই বছরে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করেছি। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শিক্ষার প্রসার ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে জ্ঞানী-গুণী, শিল্পী-সাহিত্যিক-কবি, বৈজ্ঞানিক, রাজনৈতিক ও মানবিকগুণসম্পন্ন অসংখ্য সৃষ্টিশীল মানুষ। দেশের ভৌত ও গুণগত উন্নয়নে যাদের অবদান চিরভাস্বর হয়ে আছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অপরিসীম অবদান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশকে নেতৃত্ব প্রদানকারী অনেক নেতাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষায় আলোকিত হয়েছেন। এছাড়া যুগ যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও কার্যকর অবদান রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।