Bangladesh

মহামারীতে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ: জয়
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২২: মহামারীতে বিশ্বজুড়েই যখন কর্মসংস্থান হৃাস পাচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে, তখন ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ কীভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
লকডাউনের মধ্যে নিজস্ব অফিসের বাইরে মানুষকে বাড়িতে বসে অফিস করতে হয়েছে, আর সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা কীভাবে দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে বিষয়েও বিস্তারিত উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টার লেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন টাইমসে মঙ্গলবার ‘ডিজিটাল লিপস হেলস্ বাংলাদেশ ন্যাভিগেইট দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক জয়ের কলামটি প্রকাশিত হয়।
তিনি লিখেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে শ্রমবাজারকে ব্যাহত করেছে এবং এই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। এর স্বল্পমেয়াদী ফলাফল ছিল দ্রুত ও তীব্র। লাখ লাখ মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং আরও লাখ লাখ মানুষ বাড়ি থেকে কাজ শুরু করে। মহামারীর দীর্ঘমেয়াদী এই প্রভাব নিয়ে এখনো বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত; শ্রমের চাহিদা এবং আমাদের কাজ করার পদ্ধতি চিরতরে পরিবর্তিত হয়েছে। অনেক সরকার এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধাক্কা মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাখাতকে আধুনিক ও ডিজিটাল করার যে পরিকল্পনা, তার মধ্যে এ বিষয়ে কিছু ফলাফল মিলছে।
পেশাদার তথ্য-প্রযুক্তিবিদ জয়ের লেখায় ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা এবং দেশের মানুষের ইন্টারনেট প্রাপ্তির সুবিধার কথা উঠে এসেছে।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরুর পর দ্রুত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বৃদ্ধি এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে। সংক্ষেপে, ডিজিটাল বাংলাদেশ ইন্টারনেটের ব্যবহার ও স্মার্টফোন-ভিত্তিক প্রোগ্রামগুলির ব্যবহার ধীরে ধীরে সহজ করে তুলেছে এবং কাগজ-ভিত্তিক সরকারি পরিষেবাগুলিকে প্রতিস্থাপন করেছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকার ৮হাজার ৫০০ টিরও বেশি ডিজিটাল সেন্টারের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে যা সর্বত্র অনলাইন পরিষেবা সরবরাহ করছে। ২০০৮ সালে এই পরিষেবাগুলির সবই ছিল সাধারণ মানুষের আওতার বাইরে। তখন মাত্র ৮ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ১২ কোটিরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। ইন্টারনেট আওতায় রয়েছে দেশের ৯৮ ভাগ অঞ্চল।
তিনি লিখেছেন, এছাড়াও, ডিজিটাল বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে সজ্জিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, সরকার ৮৬ হাজার ‘ডিজিটাল ক্লাসরুম’ তৈরি করেছে এবং ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ফলস্বরূপ, ২০০৮ সালের ২৫ মিলিয়ন ডলারের তথ্য প্রযুক্তি রপ্তানি ২০২১ সালের ২০০০ মিলিয়নে (২ বিলিয়ন) পৌঁছেছে।