Bangladesh
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ হচ্ছে বুলিং ও র্যাগিং
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং বন্ধে কার্যকর বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ‘শিক্ষা আইন-২০১’ এর চূড়ান্ত খসড়ায়। আইনের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষার সব প্রতিষ্ঠান বুলিং ও র্যাগিং বন্ধ করতে পারবে। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে নিজেরাই নীতিমালা বা নির্দেশিকা জারি করবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজ পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা অধিদফতর নীতিমালা বা নির্দেশিকা জারি করবে।
এছাড়া প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে শিক্ষা আইনের চূড়ান্ত খসড়ায়।
মঙ্গলবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল যুক্ত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে যুক্ত হন।
চূড়ান্ত খসড়ায় নিগ্রহ (বুলিং ও র্যাগিং) এর সংজ্ঞায় বলা হয়, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও শিক্ষার্থীকে উন্মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে, ছাত্রবাবাস/ছাত্রীনিবাসের আবাসিক কোনও শিক্ষার্থীকে একই ছাত্রবাবাস/ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থী শক্তি প্রয়োগ বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আঘাত করা, মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করা বা যন্ত্রণা দেওয়া, লাঞ্ছিত করা, অথবা এমন অশোভন বা অশালীন আচরণ করতে বাধ্য করা বা চেষ্টা করা, যা ওই শিক্ষার্থী অপর শিক্ষার্থী কর্তৃক শক্তি প্রয়োগ বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা না হলে স্বেচ্ছায় করতেন না।
বুলিং ও র্যাগিং বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আইনের খসড়ায় বলা হয়, শিক্ষার্থীর মাধ্যমে যেকোনও ধরনের নিগ্রহ (বুলিং/র্যাগিং) প্রতিরোধে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিগ্রহ (বুলিং/র্যাগিং) প্রতিরোধে সরকার সময় সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুসরণের জন্য নীতিমালা বা নির্দেশিকা করতে পারবে।
নিগ্রহের কোনও ঘটনা ঘটলে নিগ্রহের শিকার শিক্ষার্থী ছাড়াও ঘটনা সম্পর্কে অবহিত যে কেউ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে বা গোপনে অবহিত করতে পারবেন।