Bangladesh
রাজধানীর কল্যাণপুর জলাধারে হবে নান্দনিক ইকোপার্ক
ঢাকা, ২৭ মে ২০২৩ : ঢাকার মোহাম্মদপুর, মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিয়মিত ঘটনা। এসব এলাকার পানি গিয়ে জমা হয় কল্যাণপুর জলাধারে। সেখানে ‘হাইড্রো ইকোপার্ক’ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এরই মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদও সম্পন্ন। এখন মাটি খনন ও ইকো পার্কের নকশা তৈরির কাজ চলছে। পুরো কাজ শেষ হলে এসব এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না বলে দাবি মেয়র আতিকুল ইসলামের।
ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, কল্যাণপুর জলাধারের আয়তন প্রায় ৫৩ একর। কয়েক যুগ ধরে এ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বসতি গড়ে তুলেছিল একটি চক্র। সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন সে জায়গায় চলছে হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণের প্রস্তুতি।
গাবতলীর গৈদারটেক এলাকায় বেড়িবাঁধ লাগোয়া এ জলাধার কল্যাণপুর জলাধার এলাকা হিসেবে পরিচিত। মোহাম্মদপুর, আদাবর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মিরপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার বৃষ্টির পানি এসে এ জলাধারে (রিটেনশন পন্ডে) জমা হয়। পরে জলাধার থেকে পানি পাম্পের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। দুই বছর আগে এ জলাধারের মালিকানা ডিএনসিসিকে হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা।
জায়গা বুঝে পাওয়ার পর নগরের সৌন্দর্য বাড়াতে জলাধার ঘিরে হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ডিএনসিসি। সে অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে নকশা প্রণয়নের কাজ করছে সংস্থাটি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায় তারা।
ইতিমধ্যে জলাধারের চারপাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনার ভাঙা অংশ পড়ে রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। জলাধার অংশ ময়লা-আবর্জনায় ভরা। আলাদা তিনটি ভেকু দিয়ে তা পরিষ্কার করছে ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। তবে এভাবে পুরো জলাধার খনন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে বা কি পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা এবং মাটি সেখান থেকে অপসারণ করা হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তারা। তবে ডিএনসিসির প্রকৌশল দপ্তরের তথ্য মতে, গত ১৩ মে পর্যন্ত এই জলাধার থেকে ৩০ লাখ ঘনফুট মাটি ও বর্জ্য অপসারণ করেছে সংস্থাটি।
কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ূন কবির। জলাধার লাগোয়া তার বাসা। তিনি বলেন, এই জলাশয় দীর্ঘদিন বেদখলে ছিল। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সরকারের কোনো পদক্ষেপ ছিল না। এখন ডিএনসিসি যে উদ্যোগ নিয়েছে, এজন্য স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে ইকোপার্ক নির্মাণ করলে মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারবে।