Bangladesh
পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৬ আগস্ট ২০২১: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলে দিতে পারবেন সেটা পরিস্থিতির বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। রোববার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করেছি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখন করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার এবং সবকিছু মিলিয়ে যে অবস্থা, সেসব বিবেচনায় নিয়ে কবে নাগাদ আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই।'
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখন নিম্নগামী। কাজেই আমরা আশা করি- সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে মৃত্যুহার আরও নেমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলেন, সংক্রমনের হার পাঁচ শতাংশ বা তার কম হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। সেটা যেমন আমরা মাথায় রাখছি, তেমনি একইসঙ্গে টিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করছি।'
ডা. দীপু মনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা, তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। যদি আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আর বাধা থাকবে না।। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেও আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারলে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।'
মন্ত্রী বলেন, 'এখানে দুইটা বিষয়- এক সংক্রমণের হার কমে যাওয়া এবং সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুইটা যখন হবে তখন আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।'
তিনি বলেন, 'যেকোনো সময় সব পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনা মহামারির অবস্থার ওপর। গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এবছরও যদি সেটা হয় তাহলে সে সময়ে আমরা- এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা নিতে পারব ইনশাল্লাহ। সেই অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।'
তবে সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।