Bangladesh
করোনা পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩১মে ২০২১: করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার (৩০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকাটা স্বস্তিদায়ক। করোনার কারণে স্কুল-কলেজ অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছে সরকার। সংক্রমণের বতর্মান পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খোলাটাও পিছিয়ে যেতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
করোনা ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে-এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছাত্রসংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাবে। আমাদের বিধি-নিষেধ থাকার কারণে কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেবেন। সে আলোকে স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এরআগে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ নির্ধারণ করেছি। এর আগেও একাধিকবার তারিখ দেয়া হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় খুলতে পারিনি। কামনা করছি সংক্রমণের হার যেন আর না বাড়ে। প্রার্থনা করি যাতে নির্দিষ্ট সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি।’
রোববার প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি’ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর থেকে আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সাথে মুখোমুখি যে পাঠদান সেটি বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। আমরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করতে পারছি না কিন্তু অনলাইনে আমাদের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা শতভাগ শিক্ষার্থী কাছে পৌঁছাতে পারছি না। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে- ডিজিটাল ডিভাইস। জরিপের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ২৫ থেকে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস নেই। এখন পর্যন্ত আমরা ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে পেরেছি এবং ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টের সাথে যুক্ত হয়েছে। যতটুকু সম্ভব হচ্ছে সেটির মাধ্যম আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করছি।’