Bangladesh

পুরো রাজশাহী শহর প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশে পরিণত
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩: পুরো রাজশাহী শহরটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পরিণত হয়েছিল। রোববার ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখা আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন তিনি।
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের শহরের সমস্ত সড়ক, রাস্তা ও অলিগলিতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোাগান দিতে দিতে সভাস্থলের দিকে হেঁটে আসতে দেখা যায়। নগরীর বিভিন্ন এলাকা এবং রাজশাহী বিভাগের আওতাধীন আটটি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি, উৎসুক সাধারণ নারী-পুরূষের ঢল ছিল অনুষ্ঠানস্থল অভিমুখী।
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মূল্যবান ভাষণ শোনার জন্য মাদ্রাসা ময়দানে সমবেতদের ধৈর্য সহকারে ঘণ্টা কয়েক অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রাজশাহীতে রাস্তার ধারের দেয়ালে দেয়ালে অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও চিত্রকর্মে মহানগরী হয়ে ওঠে বর্ণিল ও শোভাময়। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে সভাস্থলমুখী রাস্তা ও ফুটপাতের দুই পাশে বড় ও মাঝারি আকারের ব্যানার ও পোস্টার লাগান।
জনসভায় ভাষণ দেওয়া ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১,৩১৬.৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (আরসিসি) সহ বিভিন্ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন ২৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক প্রায় ৩৭৬.২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আরসিসি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনসাধারণ যাতে সাধারণভাবে সভাস্থল ও সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ ছাড়াও প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শোনার সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শহরের ১৩টি পয়েন্টে মোটর গাড়ির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ১.৫০ লাখ বোতলজাত পানি বিতরণ করা হয় এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়। মেয়র লিটন বলেন, জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।