Bangladesh
ফখরুলের মহাসচিবের পদ নড়বড়ে হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ আগস্ট ২০২৩: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদ নড়বড়ে হয়ে গেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তিনি যেভাবে মিথ্যাচার করছেন সম্ভবত তার মহাসচিবের পদটা একটু নড়বড়ে হয়ে গেছে। যে কারণে মিথ্যাচারের মাত্রাটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচালনা ও নির্দেশনায় এবং খালেদা জিয়ার অনুমোদনক্রমে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, পুরো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিচিহ্ন করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি পত্রপত্রিকায় দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেনেড হামলা নিয়ে এমন একটি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন এবং তিনি বলেছেন যে জায়গায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গায় না করে অন্য জায়গায় কেন করলো? আসলে আমরা সেদিন অনুমতি চেয়েছিলাম মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার জন্য, কিন্তু মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি আমাদের দেওয়া হয়নি। আগের দিন রাতের বেলা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য বলা হয়। শেষ মুহূর্তে আমাদের পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করার জন্য মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়। সে কারণে আমরা মুক্তাঙ্গন বাদ দিয়ে পার্টি অফিসের সামনে সমাবেশ করেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়াই প্রমাণ করে গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করার সুবিধার্থেই মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ মুক্তাঙ্গনে গ্রেনেড ছোড়ার সুবিধা সেভাবে নেই। আমাদের দলীয় কার্যালয়ের চারপাশে বিল্ডিং, সেসব বিল্ডিং থেকে গ্রেনেড ছোড়া যায়। সেজন্য সেখানে সমাবেশ করতে বলা হয়। সবসময় যখন আমরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করি তখন সেখানে বিল্ডিংয়ের ওপর সাদা পোশাকে বা পোশাকধারী পুলিশ থাকে, কিন্তু সেদিন কেউ ছিল না। একুশে আগস্ট কোনো পুলিশ পাহারায় ছিল না। পুলিশ পাহারার পরিবর্তে বিএনপি সরকার তারেক রহমান সেখানে জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিল এবং সেখান থেকে গ্রেনেডগুলো ছোড়া হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করেছেন। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল মির্জা ফখরুলের মতো এক লোক এ রকম মিথ্যাচার করতে পারেন। তিনি যেহেতু বিএনপির মহাসচিব, তার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই আসলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার মতো এমন জঘন্য, কুৎসিত, বিভৎস্য, ঘৃণ্য মিথ্যাচার করার রাজনীতিক আমি দেখিনি।