Bangladesh
চালে দাম বাড়ায় এফবিসিসিআই সভাপতির ক্ষোভ প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩ জুন ২০২২: দেশে চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এ জন্য তিনি চাল ব্যবসায়ীদের এক হাত নিয়েছেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চাল ব্যবসা করে গুলশানে বাড়ি করছেন, আবার বলছেন লোকসান। দু’একজন ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ীরা এর দায় নেবে না।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয়ের বোর্ড রুমে ‘নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে প্যাকেটজাত চালের দর বেধে দেওয়ার বিষয়ে মত দেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এরই মধ্যে নিত্যপণের বাজারে অভিযান চালিয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের টিমও যাচ্ছে বাজারে, আমি নিজেও বাজার পরিদর্শনে যাবো। আমাদের নিত্যপণ্যের ১৭টি আইটেম রয়েছে। এগুলোর দাম যেন না বাড়ে সেজন্য তদারকি আরও বাড়াতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে, মানবিক হতে হবে। সুযোগ পেলেই আমি-আপনি দাম বাড়িয়ে দেবো, এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশে হাতে বানানো বেকারি পণ্যের ভ্যাট নেই তাহলে কেন তার দাম বাড়বে। একটা পাউরুটির দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা হয়ে যাবে কেন, ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। আমরা তাদের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম ভ্যাটও প্রত্যাহার হয়ে ছিলো, তবে কেন দাম বাড়ালেন।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা অভিযোগ করেন, ‘আমাদের হয়রানি ও ধরপাকড় করা হচ্ছে’।
এর জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আপনারা ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়িয়ে দেবেন, আর সরকার ধরপাকড় করবে না এটা কি হয়। এখন ধান উঠছে, দাম কমছে এ অবস্থায় চালের দাম কমার কথা। আপনি-আমি ব্যবসা করবো। তার মানে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বাড়াবেন এটা কি হয়? আপনি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেশিন আনছেন, এতে খরচ কমার কথা, তাহলে দাম কেন বাড়বে ভাই। বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন পোলাও চালের, সেখানে মিনিটে ছয় হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আপনারা উল্টো চালের দাম আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এসময় তিনি চাল ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কেন মজুত করেন’। এর জবাবে ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন কোনো মজুত হয়নি।