Bangladesh
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ জুন ২০২২: উজান থেকে বয়ে আসা পানি প্রবাহ সামান্য কমলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় এই পর্যন্ত ২ লাখের বেশি মানুষ দুর্গত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিডব্লিউডিবি) কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার ১০টি পয়েন্টে প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সময়ে প্রধান নদীগুলোর পানির স্তর তুলনামূলক কম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিছু নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। একই সময়ে ধরলা কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং গাইবান্ধা পয়েন্টে ঘাগোটে ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ১০৭ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার এবং ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাহাদুরাবাদে যমুনা বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় সারিয়াকান্দি, কাজিপুরে বিপদসীমার ৫০ সেমি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৯ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পানির স্তর কমে যাওয়ায় পাটেশ্বরীতে দুধকুমার বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার এবং ডালিয়ায় তিস্তা বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিডাব্লিউবিডি-এর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেদ্রের (এফএফডাব্লিউসি) এক বুলেটিন অনুসারে, আজ সকাল ৯ টায় শেষ হওয়া গত ২৪ ঘন্টার রেকর্ড করা বৃষ্টিপাত ছিল চেরাপুঞ্জিতে ১৬৪ মি.মি. এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের পাসিঘাট পয়েন্টে ৫৭ মি.মি.।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং ভারতের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্যের উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ‘কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।’