Bangladesh
হামলার প্রস্তুতি গ্রহণকালে ৪ জঙ্গি আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৪ নভেম্বর ২০২২: নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ডাকে তথাকথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া অর্ধশতাধিক তরুণের খোঁজ মেলেনি এখনো। এ অবস্থায় যে কোনো সময়ই নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না র্যাব।
র্যাব বলছে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা নাশকতা করতে পারে। নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। দুই ধাপে ভারী অস্ত্র কেনার জন্য ১৭ লাখ টাকা পাঠানোর তথ্য পাওয়া গেছে। একে-২২ ও একে-৩২ অস্ত্র সরবরাহের তথ্যও পাওয়া গেছে বলে দাবি র্যাবের। এছাড়া ৫০ লাখ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেল ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের অর্থ সমন্বয়ক ও হিজরত বিষয়ক সমন্বয়কসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। সে বিষয়ে জানাতে আয়োজন করা হয় এ সংবাদ সম্মেলনের।
গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুল কাদের ওরফে সুজন ওরফে ফয়েজ ওরফে সোহেল (২৪), ইসমাইল হোসেন ওরফে হানজালা ওরফে মানসুর (২২), মুনতাছির আহম্মেদ ওরফে বাচ্চু (২৩) ও হেলাল আহমেদ জাকারিয়া (৩৩)। এদের মধ্যে বাচ্চু সংগঠনটির অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক, সোহেল ও হানজালা হিজরত করা সদস্যদের সমন্বয়ক এবং জাকারিয়া সামরিক শাখার ৩য় সর্বোচ্চ ব্যক্তি বলে জনিয়েছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি উগ্রবাদী বই, একটি প্রশিক্ষণ সিলেবাস, ৯ টি লিফলেট, একটি ডায়েরি এবং ৪টি ব্যাগ উদ্ধারের কথা বলেছে র্যাব।
নতুন জঙ্গি সংগঠনের নাশকতার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিদের নাশকতার যে বিষয় রয়েছে, র্যাব ফোর্সেসের সব সময়ই প্রস্তুতি থাকে। আমরা ধরেই নিয়েছি, যেহেতু অনেকেই নিরুদ্দেশ রয়েছে, যে কোনো সময় যে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের কারণে জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কিন্তু এটা নির্মূল হয়নি। আমরা কখনোই আত্মতুষ্টিতে ভুগি না। যে কোনো সময়ই যে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে বা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা নাশকতা করতে পারে। এ ধরনের প্রস্তুতির কথা চিন্তা করেই আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। এখনো আমাদের অনেক সদস্য পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছেন।