Bangladesh
ভোটের চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে, বিএনপিও আসবে: ইসি রাশেদা
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ আগস্ট ২০২৩ : ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে ধীরে ধীরে। একটা সময় আসবে, বিএনপিও ভোটে আসবে। রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার। সোমবার কমিশন সভায় উঠবে।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা লাগবে। এজন্য ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাই পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে- বলেন রাশেদা সুলতানা।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করায় কোনো ধরনের চাপ ছিল না বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনো আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কোনোদিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।
‘রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের করণীয় কিছু নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ...সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।’ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভোটের দিন ভোরে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তাভাবনা নিয়েও কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটে হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।