Bangladesh
পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ : বেতন বাড়ানো নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কুষ্টিয়ার একজন বিএনপি নেতা কোনাবাড়িতে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনে ইন্ধন জোগান ও তাদের ঐক্যবদ্ধ করেন। রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মন্ত্রী।
রোববারও মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ হয়েছে। এর কারণ কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পোশাকশ্রমিকদের ৫৬ শতাংশ মজুরি বাড়িয়েছেন। অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। অনেকের মনের সংশয় আছে, দ্বিধা আছে, এরকম আমরা শুনতে পাচ্ছি। সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড, ফোর্থ গ্রেড এগুলোর কি হবে। মালিকপক্ষ নিশ্চয়ই এগুলোর সমাধান করবেন, তারা তো ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন। সমাধান করার ক্ষেত্রটি আগুন নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে ভাঙচুর নয়, সমাধান করার ক্ষেত্রে রাস্তা অবরোধ করা নয়।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য যে বিষয়গুলো, ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে আমরা যা পাচ্ছি। এর প্রায়গুলোই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। আমরা দেখেছি কুষ্টিয়ার একজন নেতা কোনাবাড়িতে এসে শ্রমিকদের উৎসাহ দিচ্ছিল, তাদের ঐক্যবদ্ধ করছিল। বিভিন্ন স্থানে যেগুলো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে, যাদের আমরা ধরতে পেরেছি- তারা সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট। এরাই এ নিরীহ শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছেন। তাদের জড়ো করছেন। সর্বক্ষেত্রে ফেল করে এ জায়গায় সফলতা পাওয়া যায় কিনা, তারই একটা ব্যবস্থা হয়তো তারা করতে চাচ্ছেন।’
মজুরির বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে শ্রমিকরা মালিকদের সঙ্গে বসে সমাধান করতে পারতো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি না করে তারা এসব করলে নিজেদের যেমন ক্ষতি হয়, দেশেরও ক্ষতি হচ্ছে, এটা তাদের চিন্তা করা উচিত। এর মানে শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে- জিজ্ঞাসা করতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই ইন্ধন আছে, আমরা সেটিই বলছি যে ইন্ধন রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সময়মতো নির্বাচনের ডাক দেবে নির্বাচন কমিশন, সবাই সেখানে অংশ নেবেন— এমনটিই জনগণের প্রত্যাশা। আমরা এখনো বলি, তারা নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পাল্টানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই নির্বাচনে তাদের আসতে হবে, যদি সরকার পরিবর্তন করতে চায়।